রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরিতে ফের সেই বাউল গ্রেফতার

আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৬ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

rabi_thakur1480224085

অনলাইন ডেস্ক :: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রদীপ বাউড়ি নামে এক বাউল গায়ক৷ এক যুগ আগে চুরি যাওয়া নোবেল উদ্ধারে হাল ছেড়ে দিয়েছিল সিবিআই৷

এবার নতুন করে শুরু করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য গোয়েন্দারা৷ এশিয়ার প্রথম নোবেল প্রাপকের পদক চুরি যাওয়া রীতিমতো অসম্মানের।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিকে নতুন করে গুরুত্ব দিলেন। গত আগস্টে তদন্ত নিজের মতো করে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার৷ কলকাতার পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত হলো নতুন তদন্ত সেল। গ্রেফতার করল প্রদীপ বাউড়ি নামের বাউল গায়ককে৷

কলকাতার দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, প্রদীপ বাউড়ির গ্রেফতারকে সাফল্য মনে করছেন তারা৷ ঘটনায় তিনি যে জড়িত ছিলেন সে ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত গোয়েন্দারা৷ অনুমান করা হচ্ছে, চোরদের ঢোকা ও পালানোর বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন তিনিই৷

এর আগে সিবিআইও আটক করেছিল তাকে৷ তবে দিনকয়েক হেফাজতে রাখার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়৷ তার থেকে উল্লেখযোগ্য কোন সূত্রই পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছিল৷ কিন্তু রাজ্যের গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে ওই গায়কই এই ঘটনায় জড়িত৷ প্রয়োজনে লাই ডিটেকশন টেস্ট বা নারকো অ্যানালিসিস টেস্টের মুখোমুখি হতে হবে তাকে৷ একসময় গ্রামপ্রধানও ছিলেন এই গায়ক৷ তিনি সিপিএমের সমর্থক ছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে৷

তদন্তে গোয়েন্দারা আরও বেশ কিছু ব্যক্তির নাম পেয়েছেন৷ যারা সকলেই পুরনো অ্যান্টিক জিনিসের ডিলার৷ তাদের অনেকে বিদেশেও থাকে৷ গোয়েন্দাদের বিশ্বাস প্রদীপের সূত্র ধরেই সেই ডিলারদের নাগাল মিলবে৷ খুব শীঘ্রই যে এই কাণ্ডের কিনারা হবে এমনটাই বিশ্বাস গোয়েন্দাদের৷

প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরির দিন ২৫ মার্চ ২০০৪ বুধবার ছিল শান্তিনিকেতনের ছুটির দিন। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বন্ধ হয়ে যায় শান্তিনিকেতন। বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র ভবন খুলতেই ধরা পরে চুরির ঘটনা। মঙ্গলবার বিশ্বভারতী বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই চোরেরা ভেতরে ঢুকে অবস্থান নেয়। সারা রাত ধরে মালপত্র সরাতে থাকে।

রবীন্দ্র ভবনের পেছনের জানালা ভেঙে ফেলে চোর, দেয়ালের নিচে পাওয়া যায় ভাঙা গ্রিল। এই জানালা দিয়ে মালপত্র সরিয়ে নেয়। পুলিশ বলে চোর জানালা দিয়ে ঢোকেনি। কারণ, সে ক্ষেত্রে জানালার পাল্লা ভেঙে ফেলতে হতো। উত্তরায়নের এই বিশাল এলাকা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল মাত্র দুজন এনডিএফ কর্মী। পাওয়া গেছে ২৮ জোড়া পায়ের ছাপ। তার মধ্যে আবার দুজনের পায়ে চটি ছিল।

কিন্তু সেই রহস্য আজও যেমন উদ্ধার হয়নি, তেমনি খুঁজে পাওয়া যায়নি কবির পদকও।

সিটিজিসান.কম/রবি

Print This Post Print This Post