নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে পাঁচটি বিলুপ্ত প্রজাতির ‘মুখপোড়া হনুমান’ উদ্ধারসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর চেরাগী পাহাড়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ডিসি (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর একই এলাকা থেকে বিপন্ন প্রজাতির দুইটি গোর খোদককে উদ্ধার করে ছিল পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের মো. সেলিম (৫৩), একই থানার চকরিয়ার পৌরসভার মৌলভীর চরের আবুল খায়েরের বাড়ির নুরুল কবির (৩১) ও একই জেলার মহেশখালী থানার শাপলাপুর বাড়িয়াছড়ি এলাকার সালাউদ্দিন কাদের প্রকাশ হেলাল উদ্দিন (৩৫)।
ডিসি (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত ও পাচার প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্থার বৈশ্বিকভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (ইন্টারপোল) তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে নগরের বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার করা হয়। পাচারকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে এসব বিরল বন্যপ্রাণী সংগ্রহ করে। এরপর বিভিন্ন জনের হাত ধরে ভারত সীমান্ত হয়ে ইউরোপ-আমেরিকা পাচার হচ্ছে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই বন্যপ্রাণী পাচার চক্রের সক্রিয়া সদস্য। তারা কম দামে বন্যপ্রাণীগুলো সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রি করে থাকে। যে প্রাণী যত বেশি বিরল তত দাম বেশি। তাই লোভে পড়ে পাচারকারীরা এসব প্রাণী ধরে বিদেশে পাচার করে। পাচার চক্রে আরও যারা জড়িত তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাচারকারীরা জানিয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে হনুমান পাঁচটি চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। এরপর চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু পার হয়ে বাকলিয়ায় ইমরান নামে এক ব্যক্তির কাছে দেওয়ার কথা ছিল। ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ‘মুখপোড়া হনুমান’ গুলো ভারতের সীমান্ত দিয়ে পাচারের পরিকল্পনা ছিল।
সিএস
Print This Post