করোনা/ ১৩ নির্দেশনা মেনে পড়তে হবে ঈদের জামাত

আপডেট: ২৪ মে ২০২০ ২:০৮ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট : ২৪ মে, ২০২০ রবিবার ০২:০৩ পিএম

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সোমবার (২৫ মে) ঈদুল ফিতরের নামাজ ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে কাছের মসজিদে আদায় করার আহ্বান জানিয়ে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত ১৩টি নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে মসজিদে ঈদের জামাতের অনুমতি দিয়েছে। ঈদের দিন মুসলমানরা মসজিদ কিংবা ঈদগাহে দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করে থাকে।

যে ১৩ নির্দেশনা মানতে হবে ঈদের জামাত আয়োজনের ক্ষেত্রে-

১. ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারাবিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিজনিত ওজরের কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

২. ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৪. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

৫. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৬. ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।

৮. এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

৯. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

১০. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

১১. করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

১২. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদেরকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

১৩. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যেখানে হবে ঈদ জামাত

এছাড়া সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সংক্রান্তে মসজিদে ঈদের নামাজের জামায়াত আদায়ের ক্ষেত্রে যাবতীয় সহযোগিতার জন্য নিকটস্থ থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করতে অথবা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের হটলাইন মোবাইল নম্বরে(০১৪০০-৪০০৪০০, ০১৮৮০-৮০৮০৮০) যোগাযোগ করার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছে সিএমপি।

এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সিটিজিসান ডটকম/আরএইচ

Print This Post Print This Post