লাইফস্টাইল ডেস্ক | আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০২২ বুধবার : ১২.৫৮ পিএম
শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের যোগ অবিচ্ছেদ্য। দ্রুত গতির জীবনে মানসিক চাপ উপেক্ষা করার উপায় নেই। কিন্তু দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠার মতো সমস্যা ডেকে আনতে পারে শারীরিক সমস্যাও। অল্পেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। সুস্থ জীবন পেতে, সুস্থ শরীরের পাশাপাশি প্রয়োজন সুস্থ মনও। এই ধরনের সমস্যা বেশি দিন থাকলে, মনোবিদের পরামর্শ নেয়াই বাঞ্ছনীয়। তবে সমস্যা কম থাকলে, বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করতে পারে।
১ ) কাউকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি করবেন না । কে কী করছে সে বিষয়ে মাথা ঘামানো নিজের মানসিক চাপ বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারন ।
২ ) আপনার যতটুকু দায়িত্ব ও কর্তব্য ততটুকু পরম আন্তরিকতার সাথে পালন করুন । আপনার সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলতে যাবেন না ।
৩ ) মানুষের সাথে অতিরিক্ত সম্পর্ক মানসিক চাপের অন্যতম কারণ । কাজেই আত্মীয় , বন্ধু , প্রতিবেশী , অধীনস্থ সকলের সাথে সীমিত সম্পর্ক রাখুন । সম্পর্ক যত ব্যাপক হবে আপনি ততটাই পেরেশানির সম্মুখীন হবেন ।
৪ ) অতিলোভ করবেন না । অল্পে তুষ্টি মানসিক শান্তির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি তাকওয়ারও পরিচায়ক ।
৫ ) সাধ্যের বাইরে নিজের অর্থ – সম্পদ কারো জন্য উজাড় করে দিবেন না । যারা কৃত্রিমভাবে নিজের সব কিছুকে উৎসর্গ করে দেয় তারা মানুষের কৃতজ্ঞতা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকে ।
৬ ) আজকের দিনটিকে ভালভাবে উপভোগ করুন । আগামী কাল কী হবে সেটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন । দুনিয়াবী বিষয়ে আগামীর চিন্তায় অস্থির হয়ে মানসিক চাপ বৃদ্ধি করবেন না ।
৭ ) প্রতিদিন একান্ত নির্জনে কিছু সময় কাটান । এ সময় আল্লাহর নিকট দুয়া করুন ।
৮ ) জ্ঞানীদের জীবনী পড়ুন , তাদের উপদেশ ও মূল্যবান বাণীগুলো পড়ুন ।
৯ ) জীবনে যত বিপদ ও সমস্যাই আসুক সহজভাবে মেনে নিন । আল্লাহর লিখিত তাকদিরের বাইরে কিছুই ঘটে না । বিপদা আপদেই হয়ত কল্যাণ রয়েছে যা বাহ্যিক দৃষ্টিতে আমার দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না ।
১০ ) মনে আনন্দ বজায় রাখুন , মানুষের সাথে দেখা – সাক্ষাতে হাসতে শিখুন ।
১১ ) শরীরকে তার হক দিন । প্রয়োজনীয় খাবার , ঘুম , বিশ্রাম গ্রহণ করা জরুরি ।
১২ ) দৈনন্দিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের লিস্ট তৈরি করে আগেরটা আগে পরেরটা পরে করুন । অগোছালো কার্যক্রম মানসিক অস্থিরতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ তৈরি করে ।
১৩ ) ‘ প্রতিটি কাজ ১০০ পার্সেন্ট নির্ভুল করতে হবে ‘ এই চিন্তা মাথা থেকে সরাতে হবে । কেননা , পূর্ণাঙ্গতার গুণ কেবল মাত্র আল্লাহর ।
১৪ ) নিশ্চিত থাকুন , আল্লাহর সাথে সম্পর্ক যত গভীর হবে দুনিয়া ও আখিরাতের সব কাজ তত সহজ হবে । আল্লাহ ভীতি , নামায , সকাল – সন্ধ্যার দুয়া ও যিকির , নেকীর কাজ ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার মনে অফুরন্ত প্রশান্তি বর্ষণ করেন , সমস্যা দূরভিত করেন আর তখন জীবন হয়ে উঠে আরও প্রাণবন্ত , স্বাচ্ছন্দয় ও আল্লাহর ভালবাসায় সুরভিত।
তবে মনে রাখবেন, এ সবই ঘরোয়া এবং একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের সমাধান। উদ্বেগের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাই বাঞ্ছনীয়।
Print This Post