করোনা শিখিয়েছে যেকোনো পরিস্থিতিতে সাবধানতার মার নেই : মেয়র নাছির

আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ৮:০৭ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট : ১২ জুলাই, ২০২০ রবিবার ০৮:০০ পিএম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ‘করোনা শিখিয়েছে যেকোনো পরিস্থিতিতে সচেতনতা ও সাবধানতার মার নেই।  শুধু করোনা নয়, প্রাত্যহিক জীবনযাপন ও চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণহীনতা, উচ্ছৃঙ্খলতা আরও বড় ধরনের  রোগ-বালাই-মুসিবত-বিপর্যয় ডেকে আনবে।’

রবিবার (১২ জুলাই)  নগরের ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয়ে বস্তি উন্নয়ন দরিদ্রহ্রাস কর্মসূচি প্রকল্প ‘প্র্যাপ’র আওতায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী না নিম্নমুখী তা বিবেচ্য বিষয় নয়, কারণ ভাইরাস জীবাণুটি জীবন্ত এবং বার বার চরিত্র ও রূপ পাল্টাচ্ছে। তাই যতদিন পর্যন্ত স্থায়ী প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হচ্ছে ততদিন সংক্রমণের থাবা থাকবে। এই ভাইরাসের আয়ুষ্কাল কতদিন তা-ও নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সামজিক গুরুত্ব ও সচেতনতার ক্ষেত্রে সামান্যতম ঢিলেমি ও উদাসীনতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠবে।’

তিনি নগরের বস্তিবাসী ও ভাসমান মানুষের জীবনধারা তুলে ধরে বলেন, ‘এখানের পরিবেশ সাধারণত অস্বাস্থ্যকর, মশা-মাছির উপদ্রব ছাড়াও নেই মান সম্পন্ন স্যানিটারি ব্যবস্থা। সুপেয় ও ব্যবহার্য পানির ব্যবস্থাও অপ্রতুল। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই এবং যত্রতত্র আবর্জনার ভাগাড় পড়ে থাকে। এ কারণে এখানে জীবাণু কিলবিল করে এবং রোগবালাই তো লেগেই থাকে। তাই করোনাকালে এখানকার পরিস্থিতি শোচনীয় হবারই কথা। তবে করোনা শুধু বস্তি নয়, অভিজাত আবাসিক এলাকাসহ ধনী-গরিব নির্বিশেষে  সবার জন্য সমান বিপজ্জনক।

কারও এমনটি ভাবা উচিত নয়, যারা এসি রুমে থাকেন, টাকা-পয়সাওয়ালা বড়লোক এবং আলিশান বাড়িতে বাস করেন, করোনা তাদেরই ঘায়েল করবে, গরিবদের নয়, আসলেই এটা ভুল ধারণা, কারণ মুম্বাইসহ অনেক বড় বড় শহরে করোনায় বহু বস্তি উজাড় হয়ে গেছে।’- যোগ করেন মেয়র।

মেয়র আরও বলেন, করোনাকালে সবখানেই হতদরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে। যারা দিনে এনে দিনে খায় তারা কর্মহীন হয়ে পড়ছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন এমনিতেই দুর্বিষহ, বর্তমানে তারা ক্ষুধায় কাতর ঘরে বন্দী থাকলে অন্ন জোটে না। তাই জীবিকাটাই এখন বড়। তাই জীবনের সুরক্ষা নিয়েই জীবিকার জন্য লড়াইয়ে সরকার দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে আছে এবং থাকবে।

সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  কাউন্সিলর জহুরুল আলন জসিম। উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সাবেক কাউন্সিলর  এসএম আলমগীর, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুুল হোসেন আলী  জয়, সিনিয়র বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জিৎ কুমার দাশ, মোস্তফা কামাল বাচ্চু, শফিকুল আলম ওয়াসিম, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ মুমিন, মো. দুলাল, মো. ফারুক শেখ প্রমুখ।

সিটিজিসান ডটকম/সিএস

Print This Post Print This Post