শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেয়ার সুযোগ!

আপডেট: ৬ জুলাই ২০২০ ১০:১৪ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট : ৬ জুলাই, ২০২০ সোমবার ১০:০০ পিএম

করোনাভাইরাস কারণে টানা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বন্ধ। তার মধ্যে প্রায় সকল ক্লাসেরই পরীক্ষার সময় গড়িয়ে গেছে। করোনাকালীন এ সময়ে শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে অনলাইনভিত্তিক ক্লাস-পরীক্ষাকে।

দেখা যাচ্ছে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষার জন্য ইন্টারনেট বিষয়টি বাধ্যতামূলক। এসব ক্লাসের জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যয় করতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এজন্য শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার জন্য আলোচনা করছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সোমবার (০৬ জুলাই) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির আয়োজনে বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা বিষয়ে আমাদের করণীয় শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি একথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাননের কার্যক্রমকে চালিয়ে নিতে আমরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করছি। ইতোমধ্যে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষেই ইন্টারনেটের ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদান অথবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেয়া যায় কি না সে বিষয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সমূহের সাথে আলোচনা চলছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সংকটই আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেয়। তাই আমাদের হয়তো কিছুদিনের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমে যেতে হতো। করোনা আমাদেরকে এক্ষেত্রে এগিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমসহ অফিস-আদালতে বিভিন্ন মিটিং এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সীমাবদ্ধ থাকবে। করোনা পরবর্তী সময়েও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এদিকে আগামী মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পরীক্ষা ছাড়া স্কুল পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, ১৫ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রথম সাময়িক, ৯ থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে দ্বিতীয় সাময়িক ও ২ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা।

কিন্তু করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। এইচএসসি-সমমান পরীক্ষাও স্থগিত।

সিটিজিসান ডটকম/সিএস

Print This Post Print This Post