
নির্দেশ বড়ুয়া, সীতাকুণ্ড করেসপন্ডেন্ট ::
২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা পরিষদের আওতাধীন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সাধারণ ওয়ার্ড-২ এ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন।
তফশিল ঘোষণার পর থেকেই সীতাকুণ্ডে সর্বত্র ভোটারদের মধ্যে চলছে নির্বাচন নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ। প্রথমবারের মতো নতুন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে কে হচ্ছেন এবারের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেদিকেই তাকিয়ে আছেন চট্টগ্রাম জেলাবাসী।
তবে নিশ্চিত করে বলা যায় সীতাকুণ্ড সাধারণ ওয়ার্ড থেকে কেউ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছে না। যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা সবাই মেম্বার পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়ছেন।
কে হবেন সাধারন ওয়াডের সদস্য তা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাঝে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সাধারণ ওয়ার্ডে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় একক মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডে চালাচ্ছেন জোর লবিং-তদবির।
তবে কেন্দ্রীয় ভাবে ঘোষনা দেয়া হয়েছে সাধারণ ওয়ার্ডে নির্বাচনের জন্য কোন কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। দলের একাধিক প্রার্থী থাকলেও তারা নির্বাচন করতে পারবে।
মিরশরাই উপজেলার মায়ানি, হাইতকান্দি, শাহেরখালী, ওয়াহেদপুর ও সীতাকু- উপজেলার সৈয়দপুর, বারৈয়ারঢালা, সীতাকুণ্ড পৌরসভা, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারী, ছলিমপুরসহ মোট ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ১৮৪ জন ভোটার নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-২ সীতাকুণ্ড ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছে মোট চারজন।
তারা হলো, সীতাকুণ্ডের আলহাজ্ব আ ম ম দিলশাদ, মহিউদ্দিন আহমেদ বাবলু ও মেজবাহ উদ্দিন এবং মিরসরাইয়ের জিতেন্দ্র প্রসাদ নাথ (মন্টু)।
সীতাকুণ্ড সাধারণ ওয়ার্ড-২ প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ বাবলু ছাত্র জীবনে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বতর্মানে উত্তর জেলার আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক। অপর প্রার্থী আ ম ম দিলশাদ ছাত্র জীবনে নিজামপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া প্রতিদ্বন্ধিতায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মেজাবাহ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি ছাত্র জীবনে সীতাকুণ্ড ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন।
মিসরাইয়ের জিতেন্দ্র নাথ প্রসাদ মন্টু বর্তমানে জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচনে ভোটার হিসেবে থাকবেন স্থানীয় সরকারের অধীনে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যরা।
মহিউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা বৃত্তি প্রদান ও সমাজ কল্যানে কাজ করে যাবো এবং নিজ দলের নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে দলের ভারসম্য রক্ষা করে দলকে আরো শক্তিশালী করব।
অপর প্রার্থী আ ম ম দিলশাদ বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ী হয়ে জেলার উন্নয়ন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, টেন্ডারবাজী বন্ধ, আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণসহ নেতাকর্মীদের সংগঠিত করব।’
এদিকে প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচিত হলে এই সরকারের উন্নয়নের দ্বারা অব্যাহত রাখব।’
সিটিজিসান.কম/রবি
