
চট্টগ্রাম :: পণ্য ট্রানজিটের জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়ে খসড়া নীতিমালা পাঠিয়েছে ভারত। একই সাথে বন্দরে পণ্য রাখার আলাদা স্থানও চেয়েছে দেশটি। এই জন্য বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিকারকদের মতো নির্ধারিত ফি ছাড়া আর কোনো মাশুল দিতে চায় না ভারত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শুল্ক-কর নির্ধারনের সময় খেয়াল রাখতে হবে, তার মাধ্যমে যেন ভারতকে ট্রানজিট দিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের খরচ উঠে আসে।
এমন দৃশ্যমান আর কাগজ কলমের অদৃশ্য কাটাতারের বেড়ায় বাঁধা পড়ছে বাণিজ্য। মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগেও এটাই ভারতের বাজারে বাংলাদেশের বাস্তবতা।
ব্যবসা বাড়াতে গেল ৪ দশকে কথা হয়েছে অনেক, তবে কাজ এগিয়েছে অল্পই। তাই প্রায় দেড় বছর আগে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরই ছিল যা কিছুটা ভরসা। তবে সেখানেও বরাবরের মতই ভারতের আগ্রহ নানা অর্থনৈতিক চুক্তির চেয়েও বহুগুণে বেশি ছিল ট্রানজিটে।
এরপর দুর্বল অবকাঠামোর আশুগঞ্জ বন্দর আর আখাউড়া পর্যন্ত সরু রাস্তা ব্যবহার করেই ট্রানজিটের আওতায় কলকাতা থেকে আগরতলা গেছে ভারতের পণ্য। সেখান থেকে প্রথমবারের মত প্রতি টনে মাশুল হিসেবে পাওয়া ১৯২ টাকা বাদে আপাত প্রাপ্তির খাতায় তেমন কিছু নেই। এখনো পর্যন্ত মেলেনি ভারতকে ট্রানজিট দিতে বাংলাদেশের যেটুকু অবকাঠামো উন্নয়ন দরকার, তার খরচ কে দিবে সেই হিসাবও।
তার আগেই পণ্য জটে মাঝে মধ্যেই নাকাল থাকা মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে এবার ট্রানজিট চায় ভারত।
বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভারতীয় হাইকমিশনের পাঠানো চিঠির সাথে প্রস্তাবিত খসড়া নীতিমালায় দেখা যায়, বন্দর দুটির সেবা পেতে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানিকারকদের জন্য নির্ধারিত যে ফি শুধু সেটুকুই দিতে চায় ভারত। এর বাইরে আর কোন রকম শুল্ক কর গুণতেই আপত্তি দেশটির। খবর চ্যানেল ২৪ এর। খসড়ায় দেখা যায়, বন্দর দুটিতে ট্রানজিটের পণ্য রাখতে আলাদা স্থানেরও দাবী ভারতের।
সিটিজিসান.কম/বিউটি
