বন্দর-চৌমুহনীর মিস্ত্রি পাড়া, ইপিজেড-পতেঙ্গা সীবিচ সড়ক

চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সড়কজুড়ে খানাখন্দ, দুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২১ বৃস্পতিবার ১২:৫৫ পিএম

ছোট বড় গর্তে সয়লাব সড়ক। চাকা আটকে থমকে যাচ্ছে গাড়ি। উলটেও যাচ্ছে কোথাও কোথাও। বিকল হয়ে আটকে গেলে লেগে যাচ্ছে যানজট। খানাখন্দে ভরা সড়ক এখন দিচ্ছে নরক যন্ত্রনা।

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার গেইট থেকে চৌমুহনীর মিস্ত্রি পাড়া, ইপিজেড থেকে পতেঙ্গা সীবিচ পর্যন্ত সড়কের চিত্র এমন।

এদিকে লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের গর্তের কাঁদামাটিতে পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে আগ্রাবাদ-চৌমুহনী মিস্ত্রিপাড়া এলাকার পুরো সড়ক। তাই নগরীর প্রধান ও ব্যস্ততম এই সড়কে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নগরের বন্দর থানার গেইট থেকে চৌমুহনী মিস্ত্রি পাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা দুই পাশে খানাখন্দক। ফকিরহাট-আগ্রাবাদ পর্যন্ত চলমান রয়েছে রাস্তার একপাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ। রোববার রাতের বৃষ্টির পানিতে ড্রেনের মাটি ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের গর্তের মাটিতে ঢেকে গেছে পুরো সড়কটি। একদিকে রাস্তায় বড় বড় গর্ত অন্যদিকে কাঁদামাটির কারণে যান চলাচলই শুধু নয়, অনুপযোগী হয়ে পড়েছে হাঁটাচলা।

মোহাম্মদ আরমান নামে এক পথচারী বলেন, ‘শহরের মধ্যে আগ্রাবাদ এলাকা হচ্ছে সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা। এই এলাকায় একদিকে রাস্তা ভাঙ্গা অন্যদিকে পুরো এলাকায় কাঁদামাটিতে ঢেকে গেছে। গত আড়াই মাস ধরে এমন পরিস্থিতি মাথায় নিয়ে চলাফেরা করছি এসব এলাকায়। এ রাস্তায় হেঁটে যে অফিসে যাব সেই পরিস্থিতি নেই। সামনে ঈদ। এখন বেড়ে যাবে সড়কের ব্যস্ততা। কর্তৃপক্ষ দ্রুত নজর না দিলে চরম দুর্ভোগে পড়বে যাত্রীরা।’

একাধিক গাড়ি চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বারেক বিল্ডিং মোড় থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত খানাখন্দক। গত আড়াই মাস ধরে এই পরিস্থিতিতে যান চলাচল করলেও এসব সংস্কারের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। সামান্য বৃষ্টিতে তীব্র যানজট লেগে যায় সড়কে। একদিকে ফ্লাইওভারের কাজ অন্যদিকে সড়ক সংস্কার না করায় চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে হচ্ছে গাড়ি।

এ বিষয়ে জানতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মাহফুজুর রহমানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া মিলেনি।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম বলেন, ‘আমি এসব রাস্তা চিনি না। নতুন আসছি এই দায়িত্বে। আপনি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলুন।’

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সিএস

Print This Post