
অমিত কান্তি সিকদার | আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২০ শুক্রবার ০৫:১০ পিএম
ঈদুল আজহার পরপরই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিবহন সেলে যুক্ত হচ্ছে নতুন চেয়ার কোচের শাটল ট্রেন। আগে স্লিপার, রেল ছিল কাঠের ও স্টিলের। যার ফলে পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল। এখন স্লিপার ও রেলও পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগে এ রুটে ১৫-২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চললেও এখন তা চলবে ৬০ কিলোমিটার বেগে।
আগামী মাসেই (আগস্ট) চবির নতুন ট্রেন চালুর লক্ষ্যে গত বুধবার (২২ জুলাই) চলমান সংস্কার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনও করেছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী।
এর আগে গত বছরের ২৪ জুলাই চবি’তে পরিদর্শনে এসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিবহন সেলে নতুন চেয়ার কোচের শাটল ট্রেন যুক্ত করার কথা জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। একইসাথে রেললাইন সংস্কার করে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময়কালে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এসব কথা জানিয়েছিলেন তিনি। রেলমন্ত্রীর ঘোষণার বছর ঘুরতেই নতুন ট্রেন পাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ঈদুল আজহার পরপরই নতুন ট্রেন চালু করতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এর মধ্যে চবি রেল রুটে চলমান সংস্কার কাজ ও প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করতে প্রকৌশল বিভাগকেও নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
এবিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন সিটিজিসানকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে স্লিপার, রেল ছিল কাঠের ও স্টিলের। এসবের পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল। এখন স্লিপার ও রেল পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ রুটের সকল স্লিপার হবে কনক্রিটের। এছাড়াও প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করা হচ্ছে। আগে এ রুটে ১৫-২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চললেও এখন তা ৬০ কিলোমিটার বেগে চলবে। যে কারণে দ্রুত সময়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারবে।’
‘আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংস্কার কাজ শেষ হলে এ রুটে নতুন একটি ট্রেন চালু হবে। এ রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের স্বদিচ্ছা আছে।’ —যোগ করেন প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন।
রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, করোনাকালীন সময়ে বন্ধ থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগেই নতুন ট্রেন চালুর সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চান রেলওয়ে প্রশাসন। এ রুটের সংস্কার কাজ শেষ করেই কয়েকদফা ট্রায়াল রান শেষ করে এ রুটে নতুন ট্রেন চালুর সকল আয়োজন শেষ করা হবে। পুরোদমে ট্রেন চালু করতে গেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর পরেই মন্ত্রী উদ্বোধন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ট্রেন চালুর সূচনা করবেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, আখাউড়া-লাকসাম রেল সড়কের নির্মাণ প্রকল্পের বেছে যাওয়া স্লিপার-ফিটিংস দিয়েই এই রুটের সংস্কার কাজ হচ্ছে। যে কারণে বড় ধরনের কোন বাজেটের প্রয়োজন হয়নি। শ্রমিক খরচসহ আনুষঙ্গিক কিছু ব্যয় ধরে মাত্র দুই কোটি টাকায় এ রুটটি নতুনরূপে চালু হচ্ছে। এর মধ্যে রেললাইনে থাকা কাঠের স্লিপারগুলো তুলে কংক্রিটের স্লিপার বসানো হচ্ছে। সকল লেভেল ক্রসিং গেটের সব ফিটিংস, পুনর্বাসন করা হবে। চবি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম শেড হচ্ছে। পাশে আরো একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম হবে।
সিটিজিসান ডটকম/আরএইচ/একেএস
