
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট : ২৫ জুন, ২০২০ বৃহস্পতিবার ০৫:৩৬ পিএম
কর্মস্থলের সীমানায় নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় সড়ক ও ফুটপাতে খন্ড-খন্ড ভাবে বসিয়েছে হকার ও দোকানপাট। তাঁদের কাছ থেকে নেয়া হয় এককালীন মোটা অংকের অর্থ। নিয়মিত তুলছেন সেখান থেকে চাঁদাও।
সাম্প্রতিক ইপিজেড থানার স্টীলমিল কর্ণফুলী গেইট এলাকায় ভাসমান হকার ও দোকানিদের কাছ থেকে চাঁদা তুলতে দেখা যায় পোশাক পরিহিত এক আনসার সদস্যকে। এই রকম একটি ভিডিও ফুটেজ সিটিজিসান ডটকমের হাতে এসেছে।
অভিযুক্তের নাম সুমন। তিনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আনসার ইউনিটে কর্মরত। সেখানে সুমন ছাড়াও কেইপিজেডের অন্যান্য আনসার সদস্যরাও হকারদের থেকে চাঁদা তুলেন নিয়মিত।
জানা গেছে, স্টীলমিল এলাকায় ফুটপাত ও সড়কে নেয় এককালীন ২০-৩০ হাজার টাকা। তুলেন নিয়মিত ৫০-১০০ টাকা। একেকদিন একেক আনসার সদস্য এসব টাকা তুলেন। এছাড়া কর্ণফুলী ইপিজেড গেইট দিয়ে মালামাল বের হওয়া সময় প্রতি গাড়ি নেয় ৫০-১০০ টাকা বকশিস।
একাধিক হকার বলেন, ‘ব্যবসা করতে হলে, সবাইকে কম-বেশি টাকা দিতে হয়। না হয়, এখানে বসতে দেবে না। দুই-তিন গ্রুপকে এসেই চাঁদা নিয়ে যায়। চাঁদার পরিমাণ সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ প্রতিদিন ১শ টাকা দেওয়া হচ্ছে।’
মাহাবুব নামে এক দোকানি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে ব্যবসা-বাণিজ্যের বেহালদশা। বিকেলে একটু বেচা-কেনা হয়। সড়কে বসেছি একটা নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে। আমার ব্যবসার জায়গাটা কেনা। টাকা ও লবিং করে এটা দখল করে বসেছি। কার কথা বলব? প্রশাসনের নাম বলে একেকজন এসেই টাকা নিয়ে যায়।’
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা অফিসার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি এখনই শুনলাম। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী চট্টগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট অফিসার বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আনসার নিয়োজিত প্রতিটি সদস্যের কাজ হলো তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করা হয়। সড়ক কিংবা ফুটপাতে চাঁদা উঠানো তার কাজ নয়। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সিটিজিসান ডটকম/সিএস
