নির্বাচন অংশগ্রহণে বিএনপির হাতে সময় ২৪ ঘণ্টা!

আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ২:৪৫ অপরাহ্ন

অনলাইন | সিটিজিসান.কম

ঢাকা | ১০ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার, ০২:৩০ পিএম |

নতুন জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোটের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে যেতে চাইলে রোববার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৫ টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।

বিএনপির হাতে সময় আছে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা। এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী জোটগতভাবে নির্বাচনের জন্য প্রতীক বরাদ্দের জন্য তফসিল ঘোষণার পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। সেই হিসেবে আগামীকাল (১১ নভেম্বর, রোববার) এর শেষ দিন।

গতকাল শুক্রবার (৯ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চাইলে তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে বলে জানান তিনি।

কিন্তু একক বা জোটগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে শনিবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১২ টা পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তের কথায় জানায়নি বিএনপি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবে দলটি। সে বৈঠকেই নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির যে বৈঠক হয়, সেই বৈঠকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও নীতিগত সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি যেহেতু ২টি জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে সেহেতু জোট শরিকদের সঙ্গে কথা না বলে একক সিদ্ধান্ত নেবে না তারা।

এ জন্য শনিবার কয়েক দফায় দলের শীর্ষ নেতা, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিকেল ৩ টার পর থেকে এ মিটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শনিবার সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দলীয় ফোরামে আলোচনা এবং জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব শিগগিরই বসব।’

সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও মধ্য সারি ও তৃণমূল নেতারা খালেদা জিয়াকে কারাগারে এবং তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখে ভোটে যেতে চায় না। বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী এবং পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাও এ ব্যাপারে একমত। তারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির পক্ষে প্রধান বিরোধী দল হওয়ারও সুযোগ থাকবে না। মাঝখান থেকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকারকে বৈধতা দেওয়া হবে।

তবে, বিএনপির সিনিয়র নেতাদের আশঙ্কা, ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করায় ২০ দলীয় জোট ভেঙে গেছে। এবার নির্বাচন বয়কট করলে বিএনপিও ভেঙে যেতে পারে। তাই বিএনপির অখণ্ডতা তথা অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে নির্বাচনে যেতে হবে।

সিএস/সিএম/এসআইজে

Print This Post Print This Post