কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা জারি রেলওয়ের

আপডেট: ৮ জানুয়ারী ২০১৮ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

অনলাইন ডেস্ক : প্রচন্ড ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় সিগন্যাল বাতি না দেখা ও ঠাণ্ডায় রেললাইন সংকুচিত হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বিশেষ করে রাতে চলাচলে ইঞ্জিনচালক এবং স্টেশন মাস্টারদের ডেটোনেটর সংকেত ব্যবহারের পাশাপাশি চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে, কুয়াশার কারণে নির্ধারিত গতির চেয়ে ধীর গতিতে চলছে ট্রেন।

তীব্র শীত ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে সারা দেশ। এই অবস্থায় শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে রেল চলাচল স্বাভাবিক রাখা নিয়ে।

কোনো স্টেশন অতিক্রম করার আগে অন্তত ৪৪০ গজ আগ থেকেই সিগনাল বাতি দেখাতে হয় চালককে। কিন্তু বর্তমানে ১০০ গজ দূর থেকেও সিগনাল বাতি দেখানো যাচ্ছে না।

এছাড়া ঠাণ্ডায় রেললাইন সংকুচিত হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। পাহাড়তলী রেলওয়ের ইঞ্জিনচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘দুই জয়েন্টের মাঝখানে যদি ফাঁকা কম থাকে, তাহলে রেললাইন সংকুচিত হয়ে যায়। সংকুচিত হলে অনেক সময় দেখা যায়, গাড়ি একটার উপর আরেকটা উঠে যেতে পারে।’

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার বলেন, ‘নিরাপত্তাই হচ্ছে প্রধান বিষয়। প্রতিটি ট্রেন কাছে আসার আগেই স্বাভাবিক গতির চেয়ে গতি অনেক কমিয়ে দেয়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্রেন পৌঁছাতে অনেক সময় লাগার কথা।’

কোনো চলন্ত ট্রেন স্টেশন অতিক্রম করার সময় ওই স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে চালকের যোগাযোগ রক্ষা করা বাধ্যতা মূলক। কোনো কারণে স্টেশন মাস্টার তার সংকেত দেখাতে ব্যর্থ হলে ট্রেন অতিক্রমের আগেই বোমা বিস্ফোরণের অনুকরণে ডেটোনেটর ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের রেলওয়ে ম্যানেজার বলেন, ‘দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য স্টেশন মাস্টার ও ট্রেন ড্রাইভার বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করবেন। টেনটা এবার ভিজিবিলিটি দেখে ট্রেন চালাবে।’

কুয়াশার রাতে দুর্ঘটনা এড়াতে যাত্রাপথে ট্রেন থামিয়ে রাখতে হচ্ছে। যেকারণে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে দুর্বৃত্তের হামলার আশঙ্কায় সতর্ক রাখা হয়েছে জিআরপি পুলিশকেও।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমাদের বাহিনীর প্রতি ইন্সট্রাকশন আছে, তারা যখন ডিউটি করবে, ট্রেনে ওইসময় ছিনতাইকারীর উঠে মালামাল উঠিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটতে পারে, সেসব যেন না ঘটে। এবং যাত্রীরা ওই সময় হুড়োহুড়ি করে ওঠা-নামা করে। এগুলো যেন না করতে পারে। কারণ তাদের নিরাপত্তাই সর্বাগ্রে।’

রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে প্রতিরাতে দুইশ’র বেশি ট্রেন চলাচল করে। যেখানে যাত্রীর সংখ্যা অন্ততঃ ৭৫ হাজার।

Print This Post Print This Post