আমরা যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি : প্রধান বিচারপতি

আপডেট: ২০ অগাস্ট ২০১৭ ১২:৫১ অপরাহ্ন

image-13537
অনলাইন ডেস্ক : পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণার পর সেখানে সেখানে কিছুই (আলোচনা সমালোচনা) হয়নি মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র

কুমার সিনহা বলেছেন, ‘আমাদের আরও পরিপক্কতা দরকার।’ ‘আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি।’ মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘আজকে একজন কলামিস্টের লেখা পড়েছি…সেখানে ধৈর্যের কথা বলা আছে।’

রবিবার নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট প্রকাশের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চে এ শুনানি হয়। পরে আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত গেজেট প্রকাশে সময় দেয় আপিল বিভাগ।

শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘গত তারিখে কি কথা ছিলো? আলাপ আলোচনা করার কথা হয়েছিলো। কার সঙ্গে কে কে থাকবে? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ল মিনিস্টার’।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘অল দ্যা জাজেস অব অ্যাপিলেট ডিভিশন। আমাদের সঙ্গে আলোচনা পর্যন্ত করলেন না?’

‘মিডিয়াতে অনেক কথা বলেন। কোর্টে এসে অন্য কথা বলেন। আপনাকে নয়। আপনাদের বলছি। আপনিই বলেন। কবে কি হবে। আপনারা ঝড় তুলছেন। আমরা কোনো মন্তব্য করছি?’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘না আপনারা করেননি। এ সময় এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম আমীর উল ইসলাম বলেন, ‘আবেদনটি শুনানি করেন’।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি…।’

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির গেজেটের খসড়া গত ৩০ জুলাই আপিল বিভাগে জমা দেয় আইন মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেটি গ্রহণ না করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায় আপিল বিভাগ। এরপর গত ১০ আগস্ট আপিল বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কিন্তু তিনি অসুস্থ হওয়ায় সে বৈঠক পিছিয়ে যায়। এরপর আর তা হয়নি।

আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়। ওই বছরের ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।

এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়।

Print This Post Print This Post