
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ বৃহস্পতিবার ০৭:১৫ পিএম
নাম তার সেকান্দর আলী (৫৫)। নিজেকে তিনি পরিচয় দেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব হিসেবে। তার রয়েছে আরও দুই সহযোগী। তারাই এই ‘ভুয়া পরিচয়ে’ পরিচয় করিয়ে দেয় চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে। বন্দরে চাকরি দেয়ার নাম করে তিনি হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা। শুধু তাই নয়, তাদের বাড়িতে ডাকযোগে ভুয়া নিয়োগপত্র ও পুলিশ ভেরিফিকেশনও পাঠান তিনি। সবশেষ এক ভুক্তভোগীর করা মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।
গ্রেফতার সেকান্দর আলী চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরা সদর আলী মুন্সির বাড়ির মৃত জাফর আহম্মদের ছেলে। তিনি চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকার ব্লক-বি ৪ নম্বর রোডের আয়েশা মঞ্জিলের বাসিন্দা।
ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘এই সিন্ডিকেটটি মূলত ৩ সদস্যের। সেকান্দার ছাড়াও দলে রয়েছে আরও দুইজন। ওই দুইজনই তাকে চাকরি প্রার্থীদের কাছে বন্দরের সচিব হিসেবে পরিচয় করান।’
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে এই ভুয়া পরিচয় দিয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজারের এক ব্যবসায়ীর ছেলেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে শুরুতে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতান তিনি। পরে ডাকযোগে ভুয়া নিয়োগপত্র ও পুলিশ ভেরিফিকশন পাঠানোর পর বাকি সাড়ে ১১ লাখ টাকা নেন। ১৫ লাখ টাকা দেয়ার পরেও চাকরি না হওয়ায় ভুক্তভোগী আবুল কাশেম বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
ওসি বলেন, ‘ঠিক এভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে শুভ্র প্রকাশ সাহা ও সুমা রানী বনিকের কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা করে ১৩ লাখ টাকা এবং গৌরব চন্দ্র সূত্রধরের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নিয়েছে প্রতারক সেকান্দর। চাকরি দেওয়ার নামে এভাবে ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।’
‘আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরও যারা সংশ্লিষ্ট আছে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।’— যোগ করেন ওসি।
সিএস
