কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া সেই মিনুর প্রাণ গেল সড়ক দুর্ঘটনায়

আপডেট: ৪ জুলাই ২০২১ ৬:০১ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট : ৪ জুলাই, ২০২১ রোববার ০৫:৫০ পিএম

আসামি না হয়েও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামির পরিবর্তে কারাগারে ৩ বছর বন্দী থাকার পর মুক্তি পাওয়া সেই মিনু সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

শনিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে থাকা ছবি দেখে বোনকে শনাক্ত করেন মিনুর ভাই মো. রুবেল।

এর আগে, গত ২৮ জুন ভোর পৌনে ৪টার দিকে বায়েজিদ-ভাটিয়ারী লিংক রোডের মহানগর সানমার গ্রিনপার্কের বিপরীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মিনু। তবে তাৎক্ষণিক তার পরিচয় না পাওয়ায় এ ঘটনা অগোচরে রয়ে যায়।

বায়েজিদ থানার উপ-পরিদর্শক নুর নবী জানান, ভোররাতে টহল দেওয়ার সময় থানা থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। আশপাশের লোকজন জানায়, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, চমেক হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাত মরদেহ হিসেবে আনজুমান-এ মুফিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে মরদেহ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। পরে জানা গেছে- ওই নারীর নাম মিনু।

মিনুর ভাই মো.রুবেল বলেন, মিনু আপা নতুন বাসা ভাড়া করে দিতে বলেছিল। কিন্তু বাসা ঠিক করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মিনু আপা ছিন্নমূল এলাকা ঘুরে দেখেছেন। আমি মনে করেছি, হয়তো কারো বাসায় গেছে। তারপরও তার খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে, খুঁজে পাওয়া যায়নি। মিনু আপার বড় ছেলে দোকান মালিকের সঙ্গে বাঁশখালীতে গেছে। ছোট ছেলে আমার সঙ্গে রয়েছে। শনিবার বিকালে পুলিশ এসেছিল আমাদের এলাকায়। তাদের কাছে ছবি দেখে মিনু আপাকে শনাক্ত করেছি।

সিটিজিসান ডটকম/সিএস

Print This Post Print This Post