আইআইইউসি শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধা লাশ মিলল রাজধানীর হাতিরঝিলে

আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২০ ১:২৫ অপরাহ্ন

আইআইইউসি প্রতিনিধি | আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০২০ বুধবার ০১:৩০ পিএম

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর শিক্ষার্থীর হাত পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার হয়েছে রাজধানীর হাতিরঝিলে। তিনি ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিলেন।

সোমবার (১২ অক্টোবর) হাতিরঝিলের রামপুরা অংশের লেক থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই শিক্ষার্থীর নাম আজিজুল ইসলাম মেহেদী (২৪)। সে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া গ্রামের ফখরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। পরে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মরদেহ পাঠানো হয়।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মেহেদী চট্টগ্রাম থেকে পাসপোর্ট তৈরির কাজে ঢাকায় এসেছিলেন। দালাদের খপ্পরে পরেই তিনি খুন হয়েছেন।

পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে, তদন্ত শেষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) ঢামেক হাসপাতালের মর্গে এসে নিহত ব্যক্তিকে আজিজুল ইসলাম মেহেদী বলে শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করতে তারা হাতিঝিল থানায় যান।

মরদেহ শনাক্ত করতে এসে মেহেদীর পরিবারের সদস্যরা জানান, গত শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে পাসপোর্ট তৈরির কাজের কথা বলে ঢাকায় আসেন মেহেদী। পরে বনশ্রী এলাকায় তার বন্ধুর বাসায় ওঠেন। রবিবার ভোরে বন্ধুর বাসা থেকে বের হয়ে যান, এরপর থেকেই মেহেদীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।

সোমবার পুলিশের মাধ্যমে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার ঢামেক মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন তারা।

নিহত আজিজুল ইসলাম মেহেদীর বড় বোন বলেন, ‘আমরা এ হত্যার বিচার চাই।আমাদের পরিবারে একটি মাত্র ভাই ছিল।’

আজিজুল ইসলাম মেহেদীর খালাতো ভাই মো শাকিল বলেন, ‘মেহেদী লেখাপড়ার পাশপাশি পরিচিতদের পাসপোর্ট তৈরির কাজ করে দিতো। পরিচিত কারো পাসপোর্টের কোনো সমস্যা থাকলে সে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে ঠিক করে দিতো। পাসপোর্টের কাজেই মেহেদী ঢাকায় এসেছিলো। কে বা কারা তাকে এভাবে হত্যা করেছে তা বলতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঢামেকে এসে জানতে পেরেছি তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। আমাদের ধারণা—সে পাসপোর্টের কাজে এসে দালালদের খপ্পরে পড়েছে। কোনো কারণে দালালের হাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। আশা করি দ্রুত রহস্য উদঘাটন হবে।’

আরএস/আরএইচ