সাবেক ওসি প্রদীপের সকল সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ আদালতের

আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ৬:০৬ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ রবিবার ০৬:০০ পিএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (সাময়িক বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।

অ্যাডভোকেট কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত আসামি প্রদীপ কুমার দাশের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে প্রদীপ কুমার দাশের জামিন শুনানি হলে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত দুদকের মামলায় প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।

গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন। এ মামলায় ২৭ আগস্ট মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জমা দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

২০১৮ সালে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।

২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাদের দুইজনকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। ১২ মে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ তারা পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

সিএস