আইআইইউসি শিক্ষার্থীদের চারদফা দাবিকে ভিন্ন খাতে নিতে চাচ্ছে একটি মহল

আপডেট: ৫ জুলাই ২০২০ ১১:৪১ অপরাহ্ন

আইআইইউসি প্রতিনিধি | আপডেট : ৫ জুলাই, ২০২০ রবিবার ১১:৩০ পিএম

সেমিস্টার ফি ৫০ শতাংশ ওয়েভার কমানো সহ চার দফা চলমান অনলাইনের দাবি আদায়ে অবস্থানে অনড় থাকলেও সেখানে এই কর্মসূচিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে একটি মহল— এমনটাই জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সম্প্রতি এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আইআইইউসি ক্যাম্পাসের একটি ফেসবুক গ্রুপে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়দানকারী ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইসলাম ডলার একটি বিতর্কিত পোস্ট দেয় বিশ্বদ্যিালয়ের প্রক্টরকে নিয়ে। সাথে যোগ করে একটি অডিও রেকর্ড। সেই অডিও রেকর্ডে প্রক্টর মোস্তফা মুনির চৌধুরীর কন্ঠস্বর ছিল।

ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করা প্রক্টরের কথোপকথনের রেকর্ডটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো— ‘এভাবে তোমরা তোমাদের দাবি গুলো করতে থাকো এবং ক্লাস গুলো চলমান রাখো। বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের রেজিষ্ট্রেশন করার সুযোগ দিয়েছে। রেজিষ্ট্রেশন এর কর্মকাণ্ডগুলো করো। কোন কিছু বাধা তৈরি করে কিংবা এরকম বিশৃঙ্খলা করে দাবি আদায় হয় না। পজিটিভলি নিতে হয়। দুনিয়াটাই হচ্ছে এরকম। মানুষের কাছ থেকে কিছু পেতে কিছু প্রশংসা করতে হয়। তোমরা গালিগালাজ করে কিছু পেতে দুনিয়ায় নিয়ম ও কিন্তু এরকম না। আল্লাহর কাছে এরকম নিয়ম না।’

ছবিঃ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে নিয়ে দেয়া ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইসলাম ডলারের বিতর্কিত পোস্ট।

অডিও রেকর্ডটির ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মোস্তফা মুনির চৌধুরীরর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ‘এটা ফোনালাপ ছিল না। এটা মিটিং এর অংশ ছিল। আমি সুন্দর ভাবে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছি। অনেকে এটাকে খারাপ ভাবে উপস্থাপন করেছে।’

এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইকোনমিক্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রক্টর স্যারের কথাকে বিকৃত করার প্রতিবাদ করার কারণে আমাকে মেসেঞ্জারে হুমকি দেওয়া হয়েছে। প্রক্টর স্যার ও বোর্ড অব ট্রাস্টির বিরুদ্ধাচরণ করে কি কোন সমাধান পাওয়া যাবে? উল্টো আন্দোলন টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।’

এ শিক্ষার্থী বলেন ‘শিক্ষার্থীরা মূলত ওয়েভার সহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন করছে। কিন্তু সুকৌশলে একটি মহল এই আন্দোলনকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীরা চায় চার দফা দাবি আদায় করতে। কিন্তু এরকম হলে কোন কিছু বাস্তবায়ন করা যাবে না।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত শনিবার (৪ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও চারদফা দাবিতে অনলাইনে এই ক্লাস বর্জন করা হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সিটিজিসান ডটকম/সিএস