
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট : ৫ জুলাই, ২০২০ রবিবার ১০:২০ পিএম
সম্প্রতিক ক্যান্সারের চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছিলেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। দেশের ফেরার পরও যেন পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি। দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে তাঁর শারীরিক অবস্থার— এমনটাই জানিয়েছেন এন্ড্রু কিশোরের খালাতো ভাই রেমন্ড তপু।
দাদা (এন্ড্রু কিশোর) গত দুইদিন ধরে কথা বলতে পারছেন না। অনেক শক্তভাবেই কথা বললেন। প্রাঞ্জলও মনে হচ্ছিল দাদাকে। কিন্তু গতকাল থেকে দাদা কথা বলতে পারছেন না। এন্ড্রু কিশোর দাদা তাঁর বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় রয়েছেন। বাসার নিচেই দিদির ক্লিনিক রয়েছে। সেখান থেকে চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে— যোগ করেন তিনি।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামের ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। এই কয়েক মাস ধরে সিঙ্গাপুরে তাঁর চিকিৎসা চলে।
এদিকে এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার খরচ জোগাতে বিক্রি করে দেন রাজশাহী শহরে তাঁর কেনা ফ্ল্যাটটি। শিল্পীর পরিবারের পাশাপাশি সংগীতশিল্পী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসীরা এগিয়ে এসেছেন।
এন্ড্রু কিশোরের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁরা দুজনেই অস্ট্রেলিয়া থাকেন। মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা সিডনিতে গ্রাফিকস ডিজাইন ও ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক মেলবোর্নে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়াশোনা করছেন।
যেভাবে শুরু করেন সংগীত জীবন
সংগীত জীবনের শুরুতে আবদুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে সংগীতচর্চা শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর। ১৯৭৭ সালে চলচ্চিত্রে তাঁর প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় আলম খান সুরারোপিত ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে। এরপর তাঁর গাওয়া অনেক গান জনপ্রিয় হয়। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদান রাখায় কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
সিটিজিসান ডটকম/সিএস
