
রোববার, অক্টোবর ৬, ২০১৯, ১১:০৩ এএম
সিএস ডেস্ক: পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কাপড়ের পাইকারি বাজার ইসলামপুর এলাকার বাদশাহ হাজী আহমেদ কমপ্লেক্স এবং আইটিসি টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে বন্ডেড চোরাই প্রায় ৭৫ টন উন্নতমানের শাটিং, স্যুটিং কাপড় জব্দ করা হয়েছে। এসবের মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। যার বিপরীতে ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ প্রায় চার কোটি টাকা।
এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চোরাচালান ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ইতোমধ্যে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শনিবার (০৫ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাদশা হাজী আহমেদ কমপ্লেক্স এবং আইটিসি টাওয়ারের বেশকিছু গোডাউনে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটরের কমিশনার এসএম হুমায়ুন কবীরের নির্দেশে কর্মকর্তারা একটি সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন কাস্টমস বন্ডের উপ কমিশনার রেজভী আহম্মেদ ও ফখরুল আমিন চৌধুরী এবং সহকারী কমিশনার আল আমিন ও আকতার হোসেন। একইসঙ্গে অভিযানে কাস্টমস বন্ডের প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। এছাড়াও ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ ও সিআইডি পুলিশ এই অভিযানে সহায়তা করে।
কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটর সূত্রে জানা যায়,
বাদশাহ হাজী আহমেদ কমপ্লেক্স এবং আইটিসি টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরের গোপন
গুদামে বিপুল পরিমাণ বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস মজুদ পাওয়া যায়। এসব ফেব্রিকস
বিভিন্ন রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠানের বন্ড সুবিধায়
শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করে বিদেশে রপ্তানির পরিবর্তে
অবৈধভাবে ইসলামপুরের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বন্ড কমিশনার এসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চোরাচালান ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। শুধু গোডাউনের মালিক বা ক্রেতা নয়, যে সমস্ত উৎস থেকে চোরাই পথে অবৈধভাবে এসব পণ্য ইসলামপুরে আসে, সেসব উৎস প্রতিষ্ঠান এবং এই চক্রকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহযোগিতা নিয়ে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং দায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ইসলামপুর এলাকার বিভিন্ন পাইকারি মার্কেটে বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকসের বাণিজ্যে বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে- এমন অভিযোগ রয়েছে। বন্ড সুবিধার অপব্যবহার প্রতিরোধ এবং দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার নির্দেশনা এবং তার গতিশীল নেতৃত্বে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ইসলামপুরের আল ইসলাম প্লাজা এবং শুভরাজ টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরের সাতটি গোপন গুদামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্ড কমিশনারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেসময় প্রায় ১০৫ টন শাটিং, স্যুটিং ও পর্দার চোরাই কাপড় জব্দ করা হয়।- বাংলানিউজ
