নতুনভাবে জনসেবার স্বাদ পেলেন প্যানেল মেয়র জামাল

আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:২৪ অপরাহ্ন


নাঈম ইসলাম, রাঙামাটি প্রতিনিধি :: পার্বত্য রাঙামাটি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পেয়েই পুরো শহর চষে বেড়ানো শুরু করেছেন প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন। দায়িত্ব নেয়ার ক’দিনের মধ্যে সমাজ সেবায় চমক দেখানো শুরু করেছেন তিনি। নাগরিক সুবিধা-অসুবিধা জানতে ছুটে বেড়াচ্ছেন শহরের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত। নগরের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার, ডেঙ্গু মশা ও পোকা মাকর নিধণ তদারকি করছেন নিজে নিরবেই। দেখছেন শহরের অন্যান্য নাগরিক সুবিধা-অসুবিধাগুলোও।

গত ২২ জুলাই থেকে রাঙামাটি পৌরসভা ফগার মেশিন ও মশা নিধনের স্প্রে’র মাধ্যমে ডেঙ্গু মশা ও পোকা মাকড় নিধণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সেই থেকেই মাছে ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল।

এসব বিষয়ে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল উদ্দিনের। তিনি বলেন, তদারকি না থাকলে কর্মচারিদের কাজে ফাকির কমতি থাকে না। দায়িত্ব নিয়ে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে কথা বলে জানাগেছে। ওঠে এসেছে পৌরবাসির বিভিন্ন সমস্যার চিত্র। এসব সমস্যা তাৎক্ষনিক সমাধানে চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, ছেলেবেলা থেকেই জনসেবা করার ইচ্ছা ছিলো। আসলে আমি প্যানেল মেয়র হলেও আমার কর্মপরিধি ছিল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে বন্ধি। এই ওয়ার্ডের বাহিরে গিয়ে কাজ করার তেমন কোনো সুযোগ হয়ে উঠেনি। এবার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নিয়েই বুঝতে পারি নাগরিকদের নানান আকাঙ্খার কথা।

ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল উদ্দিন বলেন, পৌরসভার প্রধান কাজগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা কাছ থেকে দেখার চেষ্টা করছি।

যখন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় যাই আমাকে কাছে পেয়ে সাধারণ জনগণ তাদের নানান সমস্যার কথা জানান। এসব সমস্যার কথা এই লোকগুলো সরাসরি মেয়রকে জানাতে পারতেন না। তাদের অভাব-অভিযোগ শোনার পর সমাধানের চেষ্টা করি।

পৌরবাসির দায়িত্ব ও সচেতনতা সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল বলেন, রাঙামাটি শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখা পৌরসভার একার পক্ষে সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে পৌরবাসীর সহযোগীতা খুবই প্রয়োজন। পৌরবাসী সচেতন হয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে যেখানে-সেখানে ফেললে রাস্তা-ঘাট এমনিতেই অপরিস্কার হবে, র্দুগন্ধ ছড়াবে। নাকে রুমাল দিয়ে হাটতে হবে পৌরবাসিকেই। আর পৌরসভার নাগরিকরা একটু আন্তরিক হলেই এই শহরকে অনায়ানেই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারবো।##