কক্সবাজার :
নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে গোপনে ত্রাণ বা নগদ অর্থের বিনিময়ে অনেকে তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে প্ররোচিত করার চেষ্টা করছে বলে ধারণা স্থানীয়দের। তাদের অভিযোগ, ত্রাণ দিতে আসা অনেকেই নির্দেশনা মানছেন না, তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক।
এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিপথগামী করা সহজ হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। তবে ঝুঁকির বিষয়টি আমলে নিয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর আশ্রয়স্থল উখিয়া ও টেকনাফের বিস্তীর্ণ এলাকা। স্বজন হারানোর যন্ত্রণা আর ক্ষুধা নিয়ে একটু সাহায্যের আশায় হাত পেতে আছে বিপন্ন এ জনগোষ্ঠী।
মানবতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি সেখানে ছুটে যাচ্ছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহায়তার হাত। তবে, ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিবন্ধনের নিয়ম থাকলেও সার্বক্ষণিক নজরদারির সীমাবদ্ধতার সুযোগ নিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের বাইরে রোহিঙ্গাদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দিচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন, যাদের গতিবিধি সন্দেহজনক।
দেশি-বিদেশি বিতর্কিত অনেক সংস্থা সহায়তা দেয়ার নামে অতীতে শরণার্থীদের ঘিরে নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। আর এ ধরণের কার্যক্রম রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্ররোচিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের জন্য রোহিঙ্গাদের মনের ভেতর তারা জায়গা করে নিতে পারে। এদেরকে দিয়ে একটি জঙ্গিগোষ্ঠী সংগঠন করতে পারে। যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হবে।’
এ ধরণের তৎপরতার কথা স্বীকার করে ঝুঁকির বিষয় আমলে নিয়ে টহল আর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজুরুল হক টুটুল।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী দেয়া তথ্য মতে, রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সন্দেহ হওয়ায় গত মঙ্গলবার পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিকসহ এক বাংলাদেশিকে ঢাকায় ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ।