রাউজানে রোহিঙ্গা বসতি বাড়ছে

আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ৫:০২ অপরাহ্ন

roujan

চট্টগ্রাম :: চট্টগ্রামের রাউজানে রোহিঙ্গা বসতি বাড়ছে। বাড়ছে চুরির ঘটনাও। সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার ৭ নম্বর রাউজান ইউনিয়নের পূর্ব রাউজান, চেহের খীল, ভোমর ঢালা, কদলপুর ইউনিয়নের কদলপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে, আশরফ শাহ মাজারের পূর্বে ও দক্ষিণে, পাহাড়তলী ইউনিয়নের জগৎপুর আশ্রমের পূর্বে, উনসত্তর পাড়া এলাকায়, ডাবুয়া ইউনিয়নের মেলুয়া, হলদিয়া ইউনিয়নের জানিপাথর, বানারস, বৃকবানপুর, বৃন্ধনপুর এলাকায় রোহিঙ্গারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বসতি গড়ে তুলছে।

রোহিঙ্গারা এসব এলাকার লোকজনের খামারবাড়ি, এলাকার লোকজনের দখলে থাকা সরকারি খাসজমি কিনে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। এলাকার লোকজনের ফসলিজমি বর্গা নিয়ে ধান ও সবজি চাষাবাদ করছে রোহিঙ্গারা। ওদের পরিবারের সদস্যরা রাউজানের পাহাড়ি এলাকার ইটভাটায়ও কাজ করছে। কেউ কেউ এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি ও কৃষিজমিতে দিনমজুরের কাজ করছে।

এ ছাড়া রাউজান সীমান্তবর্তী রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার মনাই পাড়া, তালতলা, নাকাটা, বটতলী, দোচালা, ডিলাইট এলাকায় পশ্চিম রাউজান, পূর্ব রাউজান, শমশের নগর, কদলপুর এলাকার লোকজনের শতাধিক খামার বাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে রোহিঙ্গারা বসবাস করছে।

উপজেলার পাহাড়ি এলাকা ও পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলায় রোহিঙ্গাবসতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওইসব এলাকায় চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢালার মুখ এলাকার ব্যবসায়ী মানিক বড়ুয়া, ভুলু সওদাগর অভিযোগ করেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিনদুপুরে ঢালার মুখ এলাকার ভুল সওদাগরের দোকান থেকে মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায় একদল রোহিঙ্গা।

একই দিন রাতের বেলায় ঢালার মুখ আবদুর রশিদ তালুকদার মার্কেটের আইডিয়েল ফার্মেসি ও একটি মুদির দোকান, ঢালার মুখ চৌধুরী মার্কেটের একটি দোকান, রাউজান রাবার বাগান জামে মসজিদেও চুরি সংঘটিত হয়।

এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন, উপজেলার সীমান্তবর্তী কাউখালী উপজেলার দোচালায় রাউজান রাবার বাগানের জমি দখল করে এলাকার এক প্রভাবশালি ব্যক্তির সহায়তায় রোহিঙ্গারা ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে।

উপজেলার পূর্ব রাউজান এলাকার হেলালের টিলায় ৪টি রোহিঙ্গা পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। ওখানে বসবাসকারি রোহিঙ্গা মহিলা সালমা খাতুন বলেন, তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কাউখালী উপজেলার তালতলায় বসবাস করতেন। স্বামী মকবুল আহম্মদ মারা যাওয়ার পর গত এক বছর থেকে হেলালের টিলায় তিনি পাঁচকন্যা সন্তান ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন।

তারা সকলে পাহাড় থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে ও দিনমজুরের কাজ করে। একই স্থানে রোহিঙ্গা রবিউল আলমসহ আরও চারটি রোহিঙ্গা পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। এদিকে উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা বসতি বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার সীমান্তবর্তী কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রকি মারমা জানান, তার এলাকায় রাউজানের লোকজনের খামার বাড়িতে রোহিঙ্গারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছে। দিন দিন রোহিঙ্গাবসতি বাড়ছে।

সিটিজিসান.কম/রবি