‘ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তারা রাজনীতিতে জড়ালে ক্ষমা নেই’

আপডেট: ১২ জানুয়ারী ২০১৭ ৫:৫৩ অপরাহ্ন

image-4

অনলাইন ডেস্ক :: ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাদেরকে ছাঁটাই করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান আরস্তু খান।

তিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে বলেন, ‘কেউ যদি রাজনৈতিক তৎপরতা না চালায় বা এই ধরনের কাজে সম্পৃক্ত না হয় তাহলে কারো ভয়ের কোনো কারণ নেই।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আরাস্তু খান।

সম্প্রতি দেশটির আলোচিত বেসরকারি ব্যাংকটিতে চেয়ারম্যান এবং পরিচালনা পর্ষদে বড় পরিবর্তন আসে। কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরাস্তু খানকে জামায়াত প্রভাবিত হিসেবে পরিচিত এই ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ পাওয়ার পর এই প্রথম অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলেন আরস্তু খান।

ইসলামী ব্যাংকের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসায় চাকুরেদের কোনো সমস্যা হবে কি না-এ নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন চেয়ারম্যান বলেন, ‘আই স্যাল অ্যাসিউর দেম। আমরা উইচ হানটিং করে কারো চাকরি খাবো না। কারণ ব্যাংকটি ভাল করছে। কর্মকর্তারাও ইফিসিয়েন্টলি কাজ করছে। যদি পলিটিক্যাল কোনো সম্পৃক্ততা থাকে, বা সাবভারসিভ কোনো কাজে জড়িত হয় তাহলে আমরা তাকে কোনোভাবেই অ্যালাউ করবো না। কারো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে ছাড় নয়।’

আরাস্তু খান বলেন, ‘আমরা প্রফেশনাল লোক চাই। এখানে প্রফেশনাল কাজ হবে। ইউ হ্যব টু বি এ প্রফেশনাল। ইউ আর ডুইং প্রফেশনাল জব। সবাই প্রফেশনালি কাজ করবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে আরাস্তু খান বলেন, ‘এখানে (ব্যাংকে) রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়নি। এটা চেইঞ্জ অব গার্ডস। জানুয়ারি আসলে ব্যাংকে পরিবর্তন হয়। খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ’ তিনি বলেন, ‘আপনি তো ভোট দেন। কেউ আওয়ামী লীগে, কেউ বিএনপিতে ভোট দেয়। কিন্তু আমরা চাই না এর রিফলেকশন ব্যাংকে আসুক। ধরুন কেউ যদি টাকা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অন্য জায়গায় পাঠায় সেটা তো ঠিক হবে না।’

কেউ যদি প্রপার কাজ করে তার ভয়ের কোনো কারণ নেই জানিয়ে আরস্তু খান বলেন, ‘নো ফিয়ার টু ওয়ার্ক ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি কোয়ালিটি কাজ করছে। তাদের অনেস্টি নিয়ে আমার প্রশ্ন নেই। আমার মনে হয় কারো নেই। ইট হ্যাজ গুড কোয়ালিটি।’

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরাস্তু খান বলেছিলেন, ব্যাংকে অনেক টাকা আছে। সরকারি বড় প্রকল্পে এগুলো তারা বিনিয়োগ করতে চান।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু ইসলামী ব্যাংকের কথাই বলিনি। যেকোনো ব্যাংকের সারপ্লাস টাকা থাকলে সরকারি প্রকল্পে অর্থায়ন করা যায়।’

আরাস্তু খান বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের রিসোর্স মবিলাইজ করে যে কোনো বড় প্রজেক্টে নিজেরা ফাইনেন্স করি তাহলে ইট ইউল বি গুড ফল দ্য কান্ট্রি। এজন্যই বলছি মোডালিটি ঠিক করতে। এ নিয়ে আমি মুসলিম চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। কীভাবে ভাল কিছু করা যায়।’

ব্যাংকের নেতৃত্বে পরিবর্তনকে বিনিয়োগকারীরা ভালোভাবে নিয়েছেন বলেই মনে করেন আরাস্তু খান। বলেন, ‘ইতোমধ্যে শেয়ার মার্কেটে ইসলামি ব্যাংকের শেয়ার মূল্য বেড়েছে।’

অর্থমন্ত্রী আপনাকে কী বলেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন ব্যাংকটির অবস্থা কী? আমি বলেছি ব্যাংকটি খুবই ভাল চলছে। এর ফাইন্যান্সসিয়াল অবস্থা খুবই ভাল। দুই হাজার তিনশ কোটি টাকা গত বছরের প্রফিট। তাদের ২৭ শতাংশ রেমিট্যান্স। নন পারফরমেন্স লোন সাড়ে তিন শতাংশ। ডিপোজিট টু ইনভেস্টমেন্ট রেশিও ৮৮ শতাংশ। ভেরি ইমপ্রেসিভ নাম্বার। খুবই ভাল অবস্থা ব্যাংকের।’

সিটিজিসান.কম/রবি

Print This Post Print This Post