চাঁদপুরের চোরাই মোবাইল লামায় বিকিকিনি, দু’জনকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ৭:১৯ অপরাহ্ন

রোববার, অক্টোবর ১৩, ১০:১০ এএম

কফিল মেম্বার

জুয়েল দাশ, চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুরের দক্ষিণ মতলবের এক দোকানে মোবাইল চুরির ঘটনায় বান্দরবানের লামায় দুই দোকানের মালিকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে সময় তাদের কাছ থেকে মতলবের দোকানের চুরি যাওয়া বেশকিছু মোবাইলসেট জব্দকরা হয়। শনিবার দুপুরে লামা থানা পুলিশের সহযোগীতায় মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম লামা পৌরশহরে এক অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া মোবাইল সেটসহ তাদের আটক করে।

তবে নাম প্রকাশ নাকরা শর্তে সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ বান্দরবানের লামায় দুই দোকান থেকে চারজনকে আটক করলেও নগদ টাকার বিনিময়ে দুই দোকানের মালিককে ছেড়ে দিয়েছে। পরে দুই দোকানের দুই কর্মচারীকে নিয়েই লামা ছেড়েচন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চাঁদপুর দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম।

মো. আনোয়ার হোসেন

পুলিশ জানায়, চাঁদপুরের দক্ষিণ মতলবের বাজারের এক মোবাইল দোকানে মোবাইলসেট চুরির ঘটনায় সেখানকার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই দোকানের মালিক। দক্ষিণ মতলব থানায় মামলা নং- ১৯, তাং-২৩/৯/১৯। এর ঘটনায় অনুসন্ধানে বান্দরবানের লামায় এসে দুইটি দোকান থেকে চারজনকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. শাহাদাত, কফিল উদ্দিন ওরপে কফিল মেম্বার ও আরও এক তরুন। মো. আনোয়ার হোসেন লামা বাজারের মদীনা মোবাইল শপের মালিক এবং শাহাদাত সেই দোকানের কর্মচারী। আর কফিল উদ্দিন ওরপে কফিল মেম্বার লামা নয়াপাড়া এলাকার একটি মোবাইল দোকানের মালিক এবং বিগ বাজারের কর্মচারী জাবেদুল ইসলাম।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরের লামা বাজারে মদীনা মোবাইল শপে অভিযান চালায় পুলিশ। সে সময় দোকান থেকে বেশ কয়েকটি চোরাই মোবাইল সেট জব্দকরা হয়। আটক করা দোকানের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন ও দোকানের কর্মচারী শাহাদাত হোসেনকে। একইভাবে নয়াপাড়ার কফিল মেম্বারকেও চোরাই মোবাইল সেটসহ আটক করা হয়।

মো. শাহাদাত

নাম প্রকাশ না করা শর্তে লামায় কর্মরত রকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য জানান, মদীনা মোবাইল শপের মালিক আনোয়ার হোসেন নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং কফিল মেম্বার ৩০ হাজার টাকা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীমকে দিয়ে ছাড়া পান। পরে আনোয়ারের দোকানের কর্মচারী শাহাদাত ও জাবেদুল ইসলামকে নিয়ে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে নটার দিকে মতলব দক্ষিণ থানার উদ্দেশ্যে লামা ছাড়েন পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মতলব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম বলেন, মদীনা মোবাইল শপ থেকে শাহাদাতকে আটকের পর আনোয়ার হোসেন এনে নিজেকে ওই দোকানের মালিক পরিচয় দেয়। পরে আবার অস্বীকার করেই। তাই ছেড়ে দিয়েছে। তবে টাকা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। ##

Print This Post Print This Post