অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচনে ইভিএমের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বৈঠক বর্জন করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর সিইসি কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক চলছিল। চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বৈঠক বর্জন করে পঞ্চম তলায় নিজ কক্ষে ফিরে আসেন। ইভিএম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ও দেন তিনি।
বেলা ১২টার দিকে বৈঠক বর্জন ও নোট অব ডিসেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি এখন আমার রুমে রয়েছি। আমার সামনে অতিথি রয়েছেন। এ নিয়ে আমি এখন কথা বলতে চাই না।’
মাহবুব তালুকদারের নির্বাচন কমিশনারের একান্ত সচিব মুহাম্মদ এনাম উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্যার, বিকাল ৩টায় এ বিষয়ে কথা বলবেন।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈঠক শুরুর আধা ঘণ্টা পরে কমিশনার মাহবুব তালুকদার বৈঠক থেকে বের হয়ে যান। এ সময় তিনি ইভিএম যুক্ত করে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাবে নোট অব ডিসেন্ট দেন বলে তার নিজস্ব দফতর সূত্রে জানা গেছে। পরে তার দফতরের একজন কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের পত্রগ্রহণ ও বিতরণ শাখায় নোট অব ডিফেন্সের একটি কপিও জমা দেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তে আগে থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন এই নির্বাচন কমিশনার। বৃহস্পতিবারের সভায় তিনি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেটা আগেই জানা গিয়েছিল।
সেই নোটে নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, গত ২৬ আগস্ট আরপিও সংশোধনের জন্য কমিশন সভায় তিন ধরনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সেদিন দুটি প্রস্তাব বাদ দিয়ে কেবল একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কমিশন সভা মুলতবি করা হয়।
নোটে আরো বলা হয়, সম্প্রতি ইভিএমের জন্য যে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে তাতে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮২১ কোটি টাকা। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মুখে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার যেখানে অনিশ্চিত সেখানে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে ক্রয় করা কতটা যৌক্তিক।
Print This Post