জনগণ চাইলে টিআইবির বিরুদ্ধে ‘যে কোনো কিছু’ হতে পারে : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: ১৬ জানুয়ারী ২০১৯ ৩:৪২ অপরাহ্ন

অনলাইন | সিটিজিসান.কম

চট্টগ্রাম | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার ০৩১:৩৫ পিএম |

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বিরুদ্ধে একপেশে, উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বক্তব্য ও প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগ এনে সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণ চাইলে টিআইবির বিরুদ্ধে ‘যে কোনো কিছু’ হতে পারে।

‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনার’ প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি বলেছে, প্রার্থীরা সমান সুযোগ না পাওয়াসহ বিভিন্ন ত্রুটির কারণে একাদশ সংসদ নির্বাচন ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত’।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থাটির মতে, এ ধরনের নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক নয়।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বক্তব্য তুলে ধরতে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগরের দেওয়ানজি পুকুরপাড় এলাকার নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য ও টিআইবির প্রতিবেদনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কয়েক বছর ধরে টিআইবির একপেশে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত প্রতিবেদনের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, টিআইবি বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে ক্রুটিপূর্ণ কমিশনের নামে তারা যে সমস্ত প্রতিবেদন সময়ে সময়ে প্রকাশ করেছে, এ নিয়ে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়ে গেছে।

টিআইবির গ্রহণযোগ্যতা যেটি আগে ছিল, সেটি এখন আর নেই দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ চাইলে যে কোনো কিছু হতে পারে। তবে আমরা মনে করি যে, গ্রহণযোগ্য বিভিন্ন সংস্থা থাকা প্রয়োজন, যেগুলো বস্তুনিষ্ট সমালোচনা করবে। কিন্তু সমালোচনা যখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়, সমালোচনা যখন পক্ষপাতদুষ্ট হয়, তখন সমাজ, দেশকে উপকৃত করেনা। বরং দেশ ও সমাজের ক্ষতি হয়।

টিআইবি এই উপলব্ধি থেকে তাদের কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাবে বলেও আশা তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের।

এর আগে মঙ্গলবার প্রকাশিত টিআইবির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ৫০টির ভোট পরিস্থিতি নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে ৪৭ আসনেই কোনো না কোনো নির্বাচনী অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তারা।

সিএস/সিএম/এসআইজে

Print This Post Print This Post