এমপি দিদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

আপডেট: ১২ জানুয়ারী ২০১৯ ৪:১৩ অপরাহ্ন

অনলাইন | সিটিজিসান.কম

চট্টগ্রাম | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার ০৩:৩০ পিএম |

চাঁদাবাজি, মারধর ও হয়রানি অভিযোগে চট্টগ্রাম-৪ আসনের এমপি মো. দিদারুল আলম দিদারের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘন্টার পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

শনিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির প্রেরিত একবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- আগামী সোমবার ভোর ৬টা থেকে ১৬ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট পালন করা হবে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় এই ধর্মঘটের আওতায় থাকবে বলে জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় সংসদ সদস্য মো. দিদারুল আলম দিদার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদকে নগরের অলঙ্কার মোড় থেকে সীতাকুন্ড রুটে মালিক সমিতির নেতাদের তার বাসায় ডাকেন। এ সময় অলঙ্কার থেকে সীতাকুন্ড রুটে গাড়ি চলাচলের নিয়ন্ত্রণ তার কাছে ছেড়ে দিতে বলেন। এসময় মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানায়, ট্রেড ইউনিয়নের আইন ও শ্রমিকদের অর্পিত দায়িত্ব শ্রমিকের মতামত ছাড়া ছেড়ে দেয়া সম্ভব নয়।

আরো বলা হয়েছে- শ্রমিক নেতাদের কথা প্রসঙ্গে একপর্যায়ে সংসদ সদস্য দিদার তাদেরকে বলেন, তাকে প্রতিমাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এতে তারা সম্মত না হওয়ায় দিদার এক পর্যায়ে ৮ নম্বর রুটে মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমকে মারধর শুরু করেন। এই ঘটনার কারণ জানতে চাইলে এমপি দিদারুল আলম উত্তেজিত হয়ে শ্রমিক নেতা অলি আহমদের দিকে তেড়ে গিয়ে তাকেও মারধর করেন। এমনকি প্রয়োজনে রিভলবার দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন।

ওইদিন সংগঠনের নেতারা কোন রকম এমপির বাসা থেকে বের হয়ে এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে সংগঠনের এক জরুরি সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এতে আগামী সোমবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় ৪৮ ঘন্টা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

জেলাগুলো হল-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি। জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন, ফেডারেশনের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা।

জানতে চাইলে মোহাম্মদ মুছা বলেন, এমপি দিদারের নিজের কব্জায় শ্রমিক সংগঠন নিয়ন্ত্রণের রাখা, সংগঠন থেকে মাসিক চাঁদাদাবি ও শ্রমিক নেতাদের মারধরের অভিযোগের কারণে জরুরি সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শ্রমিকরা এর প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করা হবে বলে তিনি জানান।

বিষয়টি অস্বীকার করে সংসদ সদস্য দিদারুল আলম দিদার গণমাধ্যমকে বলেন, শ্রমিক ফেডারেশনের অভিযোগটি মিথ্যা। শ্রমিক সংগঠনরে সব নেতারাই সবাই বিএনপি-জামায়াতের লোক। বিএনপির ওপর মহলের নির্দেশে শ্রমিক নেতারা চাঁদাবাজি করে।

সিএস/সিএম/এসআইজে

Print This Post Print This Post