এতগুলো টেলিভিশন উন্নতির লক্ষণ: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১০:৫৩ অপরাহ্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | সিটিজিসান.কম

ঢাকা:
দেশের টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বৃদ্ধিকে উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নটা যদি না হতো তাহলে আপনাদের এতগুলো টেলিভিশন চ্যানেল কিন্তু মানুষ দেখতো না। কিন্তু এখন গ্রামের ঘরে ঘরে টেলিভিশন রয়েছে। হাটে বাজারে জনগণ টেলিভিশন দেখছে। কারণ, পেটে ভাত আছে, তারা কাজের সুযোগ পাচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে তারা সাবলম্বী হয়েছে।

বুধবার নিজ কার্যালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটিসিও) এর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর প্রতি মুনাফার পাশাপাশি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে শিক্ষামূলক সম্প্রচারে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘জনগণ মনোরঞ্জনের জন্য যে টেলিভিশন দেখে সেটাকে শিক্ষার একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে তার নিজের উন্নয়ন এবং সমাজ বিনির্মাণেও ব্যবহার করা যায়।’

‘সবাই সবার লাভের বিষয়টা দেখবে, কিন্তু সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধটাও গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই বেশি বেশি শিক্ষামূলক সম্প্রচারে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পাশাপাশি আমরা দেশকে যেকোনো অপশক্তির কবল থেকে দূরে রাখতে চাই। গণমাধ্যম বিশেষ করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দেশের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ক্রীড়ার বিকাশে ভূমিকা রেখে এক্ষেত্রে কার্যকরী অবদান রাখতে পারে।

খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আলোকিত সমাজ বিনির্মাণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান প্রভৃতি ক্ষেত্রে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ভূমিকা রাখেতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব চ্যানেলে এই সব অনুষ্ঠান বেশি বেশি সম্প্রচার করা হলে মানুষের নানা বদ অভ্যাসেরও পরিবর্তন আসতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, যত বেশি এগুলোর সম্প্রচার হচ্ছে মানুষের মধ্যেও পরিবর্তন আসছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সমগ্র বিশ্বব্যাপীই একটা সমস্যা, যদিও এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে এই জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এর ওপর সারাক্ষণ আমাদের নজরদারি রাখতে হচ্ছে কোথাও যেন কোনোরকম এটা মানুষের ক্ষতি করতে না পারে।

দেশকে আর্থসামাজিকভাবে উন্নয়ন করতে হলে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকা অপরিহার্য বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮৬ ভাগে উন্নীত করার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এটা এত সহজ কাজ নয়, এজন্য কিন্তু আমাদের শ্রম দিতে হয়েছে, খাটতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার দেখানো পথেই তার সরকার পাঁচ বছর মেয়াদি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং ১০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা সফলভাবে বাস্তবায়নেই দেশের উন্নতি সম্ভব হয়েছে।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, এটিসিও’র চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, পরিচালক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল বাবু এবং ইন্ডিটেনডেন্ট টেলিভিশনের নাজমুল হাসান পাপন এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন্নাহার উপস্থিত ছিলেন। সুত্র : ঢাকাটাইমস২৪

সিএস/সিএম

Print This Post Print This Post