স্বামীকে ফাঁসিয়ে,থানায় স্ত্রীকে গণধর্ষণ

আপডেট: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৭:১৭ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:০১

সিএস ডেস্ক নিউজ : যশোরের শার্শায় এক ব্যক্তিকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোর পর তার স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের এক এসআই কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এ ঘটনা ঘটান বলে দাবি করা হচ্ছে। নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে । প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার।

নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান, ২৫ আগস্ট রাতে অভিযানের নামে যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর এলাকায় তাদের বাড়িতে হানা দেয় গোরপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল ইসলাম। এ সময় তার স্বামীকে আটক করে থানায় মাদকের মামলা দিয়ে তাকে জেলে পাঠানো হয়।

ঘটনার ৯ দিন পর সোমবার রাতে পুলিশের সোর্স লতিফ, কামারুল ও কাদেরকে সঙ্গে নিয়ে গৃহবধূর বাড়িতে যান অভিযুক্ত এস আই। এ সময় তার স্বামীকে বাঁচাতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে এস আই এবং তার সোর্স কামারুল তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিত গৃহবধূ।

নির্যাতিত গৃহবধূ বলেন, আমি বলেছি আমরা স্বামী ৯ দিন আগে ৫০ পিস ফেন্সিডিলের আসামী ছিলো। এখন টাকা দিবো আর আমার স্বামী পলাতক হয়ে গেলো। এই কথা বলার পর আমকে ধর্ষণ করে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্যাতিতা নিজেই ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে যান। এ সময় নিয়ম মেনে সদর থানা পুলিশকে জানান হাসপাতালের আরএমও।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, সদর থানার ওসিকে আমরা জানাই। তারা ঐ নারীর সাথে কথা বলেন।

যশোর পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক বলেন, অভিযোগটি গুরুতর অভিযোগ। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনা যেভাবে আসবে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো।  বিষয়টি জানতে পেরে অভিযোগ গ্রহণ করেন পুলিশ সুপার। এ সময় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। নির্যাতিতা গৃহবধূ ২ সন্তানের জননী।

জেএইচ/সিএস

Print This Post Print This Post