ফের অনিশ্চয়তার মুখে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন

আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১:১৬ অপরাহ্ন

4444

অনলাইন ডেস্ক :
গত বছরের পর এবারো দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। সাধারণত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হলেও এবার সার্ক সম্মেলন নিয়ে কোনো তোড়জোড় নেই।

শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে সার্ক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তবে বিষয়টির তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। খবর- টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

এরআগে ২০১৬ সালের নভেম্বের পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসে সার্ক সম্মেলন বাতিল হয়ে যায়। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জের ধরে দেশটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সহায়তার অভিযোগ তোলে ভারত। পরে এ ‘অজুহাতে’ সম্মেলন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। ভারতের দেখাদেখি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানও নিজেদের সরিয়ে নিলে সম্মেলন স্থগিত করা হয়।

তবে এবারো সম্মেলন করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ভারত-পাকিস্তানের পরষ্পর শত্রুতার জের ধরে কার্যত অচল হয়ে থাকা সার্ক সম্মেলন এবারও আলোর মুখ দেখতে নাও পারে। সার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাতে শীর্ষ সম্মেলনের অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করেননি সুষমা। তবে এজন্য প্রথমে সন্ত্রাস দমনের প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি।

সুষমা বলেন, আঞ্চলিক সমৃদ্ধি, যোগাযোগ ও সমন্বয়ই কেবল শান্তি ও নিরাপত্তা আনতে পারে। কিন্তু এ অঞ্চলে গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে। আমরা সব রকমভাবে সন্ত্রাস দূর করব, এটা এ অঞ্চলের স্থায়িত্বের জন্য প্রয়োজনীয়।

সুষমা বলেন, মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা ও বাণিজ্য চুক্তি প্রভৃতি না থাকায় সার্ক তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এ সার্কের মাধ্যমে ভারতের নেওয়া প্রকল্পগুলোর কথা তুলে ধরেন। দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইট প্রথম এ ধরনের উদ্যোগ। চলতি বছরের মে মাসে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

এদিকে, সার্ক চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা নেপাল আগামী বছর সার্ক সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ চেষ্টাও ব্যর্থ হতে পারে। কেননা আগামী বছর পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। ফলে ওই সময়ে সাকর্ব সম্মেলন করাটা বেশ কঠিন।

সার্কের এ অচলাবস্থায় ভারত বিমসটেকের মাধ্যমে দাঁড়াতে চাইছে। যেখানে পাকিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশই রয়েছে। ফলে এটি মূলত ভারতের কর্তৃত্বাধী্ন পাকিস্তানবিহীন একটি ‘সার্ক’ হয়ে উঠেছে। এছাড়া বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল) নামে রেল ও জ্বালানি লেনদেন বিষয়ক একটি বিকল্প সমন্বয় জোটও গড়ে তোলা হয়েছে।

অন্যদিকে, সার্ক এবং বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি নিয়ে বেশি জোর দিচ্ছে ভারত। জাতিসংঘ অধিবেশনে ভারত বারবার বিষয়টি তুলে ধরছে।

পাকিস্তানের প্রতি ইঙ্গিত করে ব্রিকস সেই দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সুষমা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে আশ্রয় ও সহায়তা পায়, যারা সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে নিয়েছে।

Print This Post Print This Post