আবু সাদেক রিপন, কুয়েত করেসপন্ডেন্ট::
কুয়েতের হাসাবিয়ায় উঠেছে শীতের শাক সবজি বাজার, শুক্রবার ও ছুটির দিনগুলোতে ব্যাপক লোক সমাগমে মিলন মেলায় পরিণত হয় হাসাবিয়া । সেই সঙ্গে শাক সবজি সহ নিত্যপণ্যের দামও তুলনামূলক কম।
কুয়েতে অনেক প্রবাসী বাংঙ্গালীরা মরুভূমিতে, আরবির বাসার আশপাশে শীতকালীন শাক সবজি চাষ করে থাকে। এছাড়াও কুয়েতের পাশ্ববর্তী দেশ ইরাক, ওমান, ভারত,বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও ইরান থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকারের শীতকালীন তাজা শাক সবজি আমদানী করা হয়ে থাকে।
কুয়েতে প্রবাসী বাংঙ্গালীদের উৎপাদিত সবজি সুপার মার্কেট গুলোতে বিক্রি করার সুযোগ না থাকলেও কুয়েতে বাংঙ্গালীদের হাট খ্যাত হাসাবিয়ায় তাদের উৎপাদিক সবজি বিক্রি করে থাকে।
শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর বিকালে কুয়েতের হাসাবিয়া এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে সেখানে প্রতিদিন শীতকালীন শাক সবজির জমজমাট হাট বসে। এই বাজারে ৯০ ভাগ বিক্রেতা বাংঙ্গালী। কম দামে ভাল তাজা শাক সবজি পাওয়া যায়।
যার কারণে কুয়েতের বিভিন্ন স্থান সালমিয়া, রওদা, হাওয়াল্লি, জাহারা, মুরগাব সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রবাসী বাংঙ্গালী সহ ইন্ডিয়ানি, পাকিস্তানী, ইরানী,মিশরী নাগরিক বাজার কিনতে এই বাজারে আসে। তাই প্রবাসীরা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা মাল এখান থেকে নিয়ে স্বস্তি পান।
সালমিয়া থেকে আসা কালাম ও হাওয়াল্লি থেকে আসা দিদার জানান, প্রতি সপ্তাহে তারা এখানে আসেন তাদের আত্মীয় স¦জনদের সাথে দেখা করে যাওয়ার সময় বাজার করে নিয়ে যান।
প্রবাসী কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শাক সবজি নিজে এক স্থানে বসে বা অন্য সবজি বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে থাকে।
এ ছাড়া শীতের সবজির মধ্যে দেশি শসা, মুলা, শিম, বাঁধাকপি ও ফুলকপি,টমেটো,কাঁচা মরিচ হাইব্রিড শসা, লম্বা বেগুন , লাল শাক, মূলার শাক, কোমড়ার শাক, পালন শাক,করলা , বরবটি , গাজর, পেঁপে, দেশি আলু।
এছাড়া বিভিন্ন সমুদ্রের মাছ ভিন্ন ভিন্ন ভাগে ভাগ করে নুস দিনার, রোবা দিনার বিক্রি করে থাকে এবং পাশাপাশি ফল আপেল, আংকুর, ডালিম, কলা, মালট্রা ও কুল ইত্যাদিও বিক্রি করে থাকে। ইজারা, উপভাড়া, দীর্ঘ সময় দখল শর্ত হিসেবে খোলামেলা পরিবেশে হাট মিলে এই হাটে শাক সবজি বিভিন্ন সাইজে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ভাগ প্রতি ভাগ কুয়েতের ১/২ দিনার, সমান বাংলার (১শত ৩০ টাকা), ১/৩ দিনান সমান বাংলার (৬৫ টাকা) বিক্রি করে থাকে।
হাসাবিয়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আনোয়ার, সবুজ বলেন, সরকারি অনুমোদন না থাকায় পুলিশ,সিআইডি মাঝে মধ্যে এসে মালপত্র নিয়ে যায় এবং ভিসা ,পতাকা নানা ভাবে হয়রানি করে থাকে।
তবুও জীবন যীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে এক একজন এক একভাবে ব্যবসায় করছে। সরবরাহ বেশি থাকায় সব রকমের সবজি মোটামোটি কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহ আরো নতুন সবজি আসবে বাজারে। তখন সবজির দাম আরো কমবে। বর্তমানে ক্রেতা বিক্রেতা সবাই ভালো বেচাকেনা করতে পারছে।
সিটিজিসান.কম/রবি
Print This Post