চট্টগ্রামে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী সেলিমসহ আটক-৩

আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ১২:৩৯ অপরাহ্ন

ctg.selim

চট্টগ্রাম : মহানগরীর টাইগারপাস এলাকার মামা-ভাগিনা মাজারের সামনে থেকে দুর্ধর্ষ পেশাদার ছিনতাইকারী সেলিম বৃটিশ এক নাগরিকের ব্যাগ ছিনতাইকালে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেলিমের সঙ্গে থাকা তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।

আজ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর টাইগারপাস এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ এবং ২ চাপাতি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটক বাকি দুজন হলেন, অটোরিকশা চালক হেদায়েতউল্লাহ সুজন এবং মনসুর।

এর আগে একই অপরাধে ছয় মাস আগে চীনের এক নাগরিকের ব্যাগ ছিনতাই করে গ্রেফতার হয়েছিল চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ পেশাদার ছিনতাইকারী সেলিম। এক মাস পর জামিনে বেরিয়ে সেলিম আবারও ছিনতাইয়ের নেমে পড়ে।

এবিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ জােন) মির্জা ‍সায়েম মাহমুদ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেলিম একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের মূলহোতা। ব্যাগ টানা পার্টি নামে তারা পরিচিত। ৭-৮টি সিএনজি অটোরিকশায় করে তারা ভোরে বের হয়। চলতি পথে রিকশা যাত্রীর কাছ থেকে ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায়। অথবা নির্জন স্থানে পথচারীদের জিম্মি করে মানিব্যাগ-মোবাইল ছিনতাই করে নেয়। এরা এতোটাই ভয়ংকর যে মহানগরের বিভিন্ন অটোরিক্সার ড্রাইভারদের সাথে তাদের যোগােযাগ আছে। যা সুযোগ বুঝে এসব অপকর্ম চালায়।

প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে নগরীর খুলশী থানার জাকির হোসেন রোডে এমইএস কলেজ মোড়ে কর্মসূত্রে চট্টগ্রামে বসবাসকারী ইংল্যান্ডের নাগরিক জুলিয়া ডেভিস ছিনতাইয়ের শিকার হন। বাবার সঙ্গে রিকশায় করে যাবার পথে অটোরিকশা থেকে তার ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায়। ব্যাগের মধ্যে একটি ক্যানন ক্যামেরা ও সানগ্লাস ছিল। জুলিয়া ডেভিস চট্টগ্রামের এশিয়ান উইম্যান্স ইউনিভার্সিটির রাইটিং সেন্টারের পরিচালক।

এছাড়া গত বছরের ১৮ জুলাই সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ রোডে অর্কিড হোটেলের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন চীনা নাগরিক। তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ব্যাগে একটি ল্যাপটপ, ২ লাখ টাকা, ১ হাজার মার্কিন ডলার ও চীনের জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল।

এই ঘটনার পর ২১ আগস্ট সিএমপির তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী সেলিমকে গ্রেফতার করেছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ। সেলিম সন্দ্বীপ উপজেলার কালাপানিয়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। থাকেন পাহাড়তলী থানার ফইল্যাতলী বাজারে।

এদিকে, বারবার গ্রেফতারের জামিনে বেরিয়ে সেলিম আবারও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তার বিরুদ্ধে মহানগরীর কোতয়ালী, ডবলমুরিং ও খুলশী থানায় মোট ৭টি মামলা আছে। গ্রেফতারের পর ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র আইনে আরও দুটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন মির্জা সায়েম।

Print This Post Print This Post