কক্সবাজার : কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক পাঁচ বিদেশি নাগরিকসহ ২৬ জনকে আটক করেছে জেলা প্রশাসন।
গতকাল সোমবার (০৬ নভেম্বর) রাতে উখিয়া উপজেলার কুতপালং এলাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালান।
আটকের পর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ১১ জনকে পুলিশের সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ বলেন, বহিরাগতদের বিকেল ৫টার মধ্যে রোহিঙ্গা শিবির ছাড়ার নির্দেশনা আছে। এছাড়া বিদেশিদের রোহিঙ্গা শিবিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। কিন্তু বিদেশি নাগরিকরা সন্ধ্যার পরও শিবিরে অবস্থান করছিলেন। তাদের কোন অনুমোদনও নেই। আটকের পর তারা বলেছেন, বিষয়গুলো তারা জানতেন না। ভবিষ্যতে তারা নিয়ম মেনে আসবেন। মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পাঁচ বিদেশি নাগরিকের মধ্যে একজন চীনের এবং বাকি চারজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক বলে জানান খালেদ মাহমুদ। তারা কেউই বিদেশি কোন সংস্থার প্রতিনিধি নন জানিয়ে তিনি বলেন, শুধুমাত্র রোহিঙ্গা শিবির দেখতেই তারা ভেতরে ঢুকেছিলেন।
খালেদ মাহমুদ আরও জানান, আটক বাকি ১৬ জন নিজেদের পরিচয় গোপন করে এনজিও কর্মী সেজে রোহিঙ্গা শিবিরে প্রবেশ করেন। তাদের কর্মকাণ্ড সন্দেহজনক। ১০ জনকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাস থেকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১১ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে।
মিয়ানমারে সহিংসতার জেরে গত ২৫ আগস্ট থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এবং বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের ঢল নামে যা এখনো অব্যাহত আছে।
Print This Post